
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম ইউরোপের কোন নেতাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে। যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকেরা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতো নেতাদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
তবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, যাতে হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্যবাহী ‘বিউটি প্যারেড’-এ সবার আগে কিয়ার স্টারমারকে রাখা যায়। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের পরবর্তী কয়েক দিনে হোয়াইট হাউসে বিদেশি নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। এটাকেই ‘বি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (বাঁয়ে) ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারফাইল ছবি : এএফপি
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তখন ট্রাম্প যাতে ন্যাটোকে সমর্থন করেন, এই বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে একটি শক্তিশালী বিবৃতি আদায় করেছিলেন থেরেসা। পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েও ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন এই নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু ওই সফর নিয়ে থেরেসা মে’র কিছুটা অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। কারণ, তখন হোয়াইট হাউসে পাশাপাশি হাঁটার একপর্যায়ে হঠাৎ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ফেলেছিলেন ট্রাম্প। পরে জানা গেছে, থেরেসা মে এতে বেশ বিব্রত হয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক শেষ ভাষণ
শক্তিশালী আমেরিকা রেখে যাচ্ছি, বিদায়বেলায় বাইডেন

বিদায়বেলায় নিজের প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘এ চার বছরে আমরা সংকটের মুখোমুখি হয়েছি, আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা যে অবস্থায় পরীক্ষা শুরু করেছিলাম, তার চেয়ে শক্তিশালী রূপে বের হয়ে এসেছি।’
গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ভাষণে বাইডেন এসব কথা বলেন। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এটিই ছিল বাইডেনের শেষ ভাষণ।
ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘আমরা একটি বাঁকবদলের মুখে দাঁড়িয়ে আছি। শীতলযুদ্ধ–পরবর্তী যুগের অবসান হয়েছে। একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। সামনের মাস ও বছরগুলোতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। তবু এটা স্পষ্ট, আমার প্রশাসন পরবর্তী প্রশাসনকে খুব শক্তিশালী অবস্থানে রেখে যাচ্ছে।’
Leave a Reply